শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আশ্বিন ৪ ১৪৩১   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২২

রাঙ্গাবালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, দোকান অফিস ভাংচুর

মোঃ কাওছার আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) 

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

সালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির স্থানীয় কার্যালয়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বসতঘর। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়নের চরবেষ্টিন গ্রামসংলগ্ন মাঝেরচর এলাকায় এক ট্রলারে কাজ করা তিন শ্রমিকের বেতন না দেওয়া নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে ট্রলার মালিকপক্ষ এবং তিন জেলে শ্রমিকের বিরোধ মীমাংসা করতে আলাদা আলাদাভাবে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের লোকজন হাজির হয়। এতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের লোকজনের মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়।

 

এ ঘটনার জেরে  চরবেষ্টিন বাজারে গিয়ে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের ওই কর্মীরা। খবর পেয়ে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাজারে গেলে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে চরবেষ্টিন এবং পাশের গ্রাম চররুস্তমের মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

 

সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ দফায় দফায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। রাত ১০টার দিকে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। গুরুতর আহতদের পার্শবর্তী উপজেলা গলাচিপা ও জেলা শহর পটুয়াখালীতে পাঠানো হয়। চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার ফজলুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু লোকজন বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। অনেক লোকজন আহত হয়। আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি।’

 

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চরবেষ্টিন বাজারে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের লোকজন। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং দোকানপাটও ভাঙচুর করে। ওই এলাকায় বর্তমানে আওয়ামী লীগের লোকজন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।’

 

রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা করেনি। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং দুটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জেনেছি। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি নৌবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। যৌথবাহিনী আসার খবর পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।

এই বিভাগের আরো খবর