বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭

মানব জাতিকে বাঁচানোর লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪  

ইসলামী সমাজের উদ্যোগে ঢাকা, শ্যামপুর থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমূখে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রায় বিভিন্ন স্থানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ুন কবীর বলেছেন, মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, ফলে দাসত্ব ও আইনের আনুগত্য একমাত্র আল্লাহর এবং এরই বাস্তবায়নে শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর, অন্য কারো নয়।

 

এসব মহাসত্য বিষয়গুলোর ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত ও পরিচালিত হলেই মানুষের জীবনে সু-শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের ন্যায্য সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, তাদের জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং সকল ধর্মের লোকেরা যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবে, ফলে দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চলার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষ এসব মহাসত্য বিষয়গুলো থেকে বিচ্যুত হয়ে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধানের এবং এরই ধারক বাহক নেতাদের আনুগত্য স্বীকার করে মানুষের দাসত্ব করছে, যার কারণে মানুষের দুনিয়ার জীবনে চরম অশান্তি বিরাজ করছে এবং এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে আখিরাতের জীবনে তাদের নিশ্চিত ঠিকানা হবে জাহান্নাম যা মূলতঃ মহাক্ষতি।

 

গতকাল মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর গণজাগরণ যাত্রা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ইসলামী সমাজের আমীর আরো বলেন, গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে মহাসত্য বিষয়গুলোর ভিত্তিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বে ইসলামের আইন-বিধান সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাই মহাক্ষতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।

 

গনতন্ত্রের অধীনে জোট-ভোট ও নির্বাচন বা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই নয়। আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসরণ ও অনুকরণে জাহিলি সমাজের বিপরীত ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলনই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক পদ্ধতি।

 

এ কথার উল্ল্যেখ করে তিনি আরো বলেন, ইসলামী সমাজ গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে মহাসত্য বিষয়গুলোর ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

পরিশেষে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে মহাক্ষতি থেকে বাঁচার লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে দৃঢ়তার সাথে নিন্মোক্ত শ্লোগানে শ্লোগানে আওয়াজ তুলার আহ্বান জানান- ০১) রাব্বাকা ফাকাব্বির- আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। ০২) আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার- সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর।

 

০৩) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব- মানি না, মানবো না। ০৪) গণতন্ত্রব্যবস্থাসহ কোন মানব রচিত ব্যবস্থা- মানি না, মানবো না। ০৫) গণতন্ত্র মানছে যারা, মানবে যারা- জাহান্নামে যাবে তারা। ০৬) মানব রচিত ব্যবস্থা মানছে যারা, মানবে যারা- জাহান্নামে যাবে তারা। ০৭) ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যগড়- মানব রচিত ব্যবস্থা খতম করো।

 

০৮) গণতন্ত্রের জোট, ভোট, নির্বাচন- ঈমান আমল ধ্বংসের কারণ। ০৯) মানুষের কল্যাণে দরকার- আল্লাহর বিধানের সরকার। ১০) সরকার, প্রশাসন, জনতা- ইসলামী সমাজের সাথে গড়ে তুল একতা। শান্তিপূর্ণ উক্ত গণজাগরণ যাত্রায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলগণ।