বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১৫

মহাকাশে গেল চিংড়ি মাছ

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১  

মহাকাশে বসবাস করতে মানুষের মাঝে আগ্রহ ও কৌতূহল রয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের বিকাশে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই তো মহাকাশে আইসক্রিম, পাতিলেবু, চিংড়ি ও পিঁপড়ে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৭০ কিলোগ্রাম ওজনেরও বেশি খাদ্য ও পিঁপড়ে মহাকাশে গেল।

নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রোববার (২৯ আগস্ট) ভোর হওয়ার আগেই আইসক্রিম, পাতিলেবু, চিড়ড়ি ও পিঁপড়েসহ বহু জিনিসপত্র নিয়ে মহাকাশে রওনা হয়েছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা ‘স্পেস-এক্স’ এর ‘ফ্যালকন’ রকেট। ভূপৃষ্ঠের ৩৭০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এসব জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে রওনা হয়েছে।

গত শনিবার ‘স্পেস-এক্স’ এর ‘ফ্যালকন’ রকেট রওনা হওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। স্পেস-এক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার ভোর হওয়ার আগেই ‘ড্রাগন’নামে ‘ফ্যালকন’রকেট রওনা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিত্যপণ্য ও পিঁপড়া সোমবার পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে। এক দশকে নাসার পাঠানো জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে এ পর্যন্ত ২৩ বার মহাকাশ স্টেশনে গেল স্পেস-এক্স এর শক্তিশালী রকেট।

মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা মহাকাশচারীদের জন্য আইসক্রিম, ফল আর নানা ধরনের খাবার পাঠানো হয়েছে। এবার নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ছাড়াও মানুষ আকৃতি ‘রোবটিক আর্ম’ বা রোবট বাহু পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় এটি কতটা কার্যকর হয়, তা বুঝতেই জাপানের একটি সংস্থার বানানো বিশাল রোবট বাহুটিকে মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।

প্রায় সাড়ে ৪ দশক পর ২০২৪ সালে ‘আর্টেমিস’ অভিযানে মহাকাশচারীদের ফের চাঁদে নামাতে চলেছে নাসা। সেই অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ে এই রোবট বাহুর ব্যাপক ব্যবহার হবে। চাঁদে সভ্যতার একটি স্থায়ী বেস বা আস্তানা গড়ে তুলতে ও খনিজ সম্পদের সন্ধান ও সংগ্রহে এই রোবট বাহুটিকে ব্যবহার করা হবে বলে জানায় নাসা।

মহাকাশ স্টেশনে ভরশূন্য অবস্থায় পরীক্ষানিরীক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, পিঁপড়ে আর লবণাক্ত জলের চিংড়ি মাছ পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর