মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০৩

ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ডাকে দুজনও আসবে না: মিন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩  

অতীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিগুলোতে জনসমাগম হতো উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, সামনেও আওয়ামী লীগের ডাকে দুজনও আসবে না। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাংকির সামনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিএনপি ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এসময় নেতাকর্মীরা বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি এবং চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি ও হামলার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।

সমাবেশে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আওয়ামী লীগের ডাকে ২০০ লোকও আসতো না। সামনে দুজনও আসবে না। আওয়ামী লীগ এখন দেশে দুঃস্বপ্নের নাম। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। এরা নিজেদের স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশকে রক্ষা করা আমাদের সবার ঈমানি দায়িত্ব।jagonews24
বিএনপি এখনো প্রকৃত আন্দোলন শুরু করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো এখনো আন্দোলন শুরু করিনি। তাতেই সরকারের লোকেরা বলে তারা নাকি ধাক্কা দিলে পড়বে না। আমি বলবো- কত বড় ধাক্কা লাগবে? তুফানের সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। দরকার হলে আমরা সবাই মিলে সেটাও তৈরি করবো। আন্দোলনের সুনামির ধাক্কায় এই সরকার ভেসে যাবে।

মিন্টু আরও বলেন, আজকে দেশের লোক কষ্টে আছে। সরকার বলছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। দেশে এগুলোর দাম কমানোর কোনো লক্ষণ নেই। তারা বলে ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে। ২৪ হাজার নাকি উৎপাদন হচ্ছে। তাহলে এতো লোডশেডিং কেন? কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট। তাদেরকে বিদায় করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকার।

বর্তমান সরকারের চারদিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা ব্যাংক থেকে কত হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে। অসংখ্য টাকা পাচার করেছে। আমি চাই ১০ দফা মেনে নিয়ে সরকার পদত্যাগ করুক। তা না হলে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। আমরা কেবল আন্দোলন শুরু করেছি। কঠোর আন্দোলন আসতেছে। কোনোভাবেই এই সরকার থাকতে পারবে না। দেশ ও জনগণের অধিকার রক্ষা এবং জনগণকে বাঁচাতে যা কিছু করা দরকার সবকিছু করা হবে ইনশাআল্লাহ।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ২৫ জানুয়ারি বাকশাল দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি করা হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর