বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ১০ ১৪৩২   ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটের আলোচনায় তিনটি আসন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মোহাম্মদ ইদ্রিস

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩  

প্রতীক বরাদ্দের পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছয়টি আসনে ছড়িয়ে পড়েছে ভোটের উৎসব।সোমবার জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে জেলার ৬টি আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।প্রতীক নিতে প্রার্থী ছাড়াও আসেন তাদের সমর্থকরা।তবে কৌতূহল ছিল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কে কি প্রতীক পাচ্ছেন সেটি নিয়ে।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রতীক বরাদ্দ করেন।এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।প্রতীক বরাদ্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা  আলহাজ সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান পেয়েছেন ‘কলারছড়ি’ প্রতীক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে প্রভাবশালী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন মঈন ও জিয়াউল হক মৃধা দু’জনেই ‘কলারছড়ি’ প্রতীক চান।পরে সমঝোতায় মৃধা ‘কলারছড়ি’ মঈনকে ছেড়ে দেন। মঈন ২০১৮ সালে একই প্রতীকে নির্বাচন করেন। মৃধাও গত ৫ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ‘কলারছড়ি’ প্রতীকে নির্বাচন করেন। পরে ঈগল প্রতীক বাছাই করেন মৃধা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও পেয়েছেন ‘কাঁচি’ প্রতীক। ৬টি আসনের মোট ৩৪ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রতীক পেয়ে প্রভাবশালী প্রার্থীদের সবার সমর্থক স্লোগানে মুখর করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকা। মিছিল করে বেরিয়ে যান প্রার্থীকে নিয়ে। সদর আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করার পর তার সমর্থকরা গাড়িবহরসহ মিছিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ত্যাগ করেন।

এই মুহূর্তে ভোটারদের মাঝে আলোচনায় রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক দুই ও তিন নম্বর আসন নিয়ে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-০১ (নাসিরনগর) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা  আলহাজ সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ‘কলারছড়ি’ প্রতীক। এই নির্বাচনে তার আগমনে এলাকায় নতুন জোয়ার এসেছে ভোটের রাজনীতিতে। তারা বলছেন, এই হেভিওয়েট প্রার্থী বিজয়ী হলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে প্রভাবশালী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন মঈন ও এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।তাছাড়া এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া এবং এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা দুজনই জামাই শ^শুর।ফলে এই আসনে ভোটের হিসেবে লড়াই হবে ত্রিমুখী। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর) আসনে  আওয়ামী লীগ মনোনীত র.আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা), ফিরোজুর রহমান স্বতন্ত্র (কাঁচি) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এরফলে ভোটের হিসেবে ছয়টি আসনের মধ্যে এই তিনটি আসনের হিসাব মেলাতে ভোটার ও প্রার্থীদের হিমশিম খেতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ ভোটারগণ। 

এই বিভাগের আরো খবর