মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪০৬

বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হচ্ছে: সালমান এফ রহমান

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনেই উৎপাদনহীন ও কারখানা বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হচ্ছে। কিন্তু ডিএসই কিছুই করছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

আজ শনিবার পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা সবাই দেখছি একটি কোম্পানির ১০ বছর ধরে কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রতিনিয়তই এই রকম কোম্পানির শেয়ার নিয়ে ডিএসইর ব্রোকাররা ম্যানিপুলেশন (কারসাজি) করছে। ডিএসইর সামনেই বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে। তারা তো লুকিয়ে করছে না। তারপর ডিএসই এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ডিএসইকে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে যদি কোন দুই নম্বারি হয়ে থাকে, সেটা পুরো পৃথিবীতেই সবার আগে স্টক এক্সচেঞ্জ ধরে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাতো অনেক পরের বিষয়। প্রথমেই ধরবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তাদের ওখানেইতো প্রতিদিন লেনদেন হয়। যেকোন ধরনের অনিয়মের লেনদেন দেখলে বুঝতে পারা যায়। কিন্তু এখনো আমাদের শেয়ারবাজারে যে কোম্পানি বন্ধ, তারপরেও সেই কোম্পানির দর বাড়ে। কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং কারা বিক্রি করে, তা স্টক এক্সচেঞ্জ জানে। এখানে যে ম্যানুপুলেশন হচ্ছে এবং ওপেনলি হচ্ছে, লুকিয়ে কেউ করছে না। কিন্তু যখনই বাজার পড়ে গিয়ে কোন কিছুই হলেই রাস্তায় লোকজন নেমে সরকারকে দোষারোপ করে।

দেশের পুঁজিবাজারকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বেনিফিশিয়ারি একাউন্ট (বিও) ডিজিটাল হওয়া উচিত উল্লেখ্য করে সালমান এফ রহমান বলেন, এটা ডিজিটাল হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য যেমন সুবিধা হবে তেমনি অনেক বিনিয়োগকারী বাসায় বসেই একাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এখন অনেক ব্যাংক একাউন্টও বাসায় বসেই ডিজিটালি করা যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)- এর প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান।

বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের ভারসাম্য রক্ষায় চাহিদা ও যোগান জরুরি। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। ভালো ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাকে পুঁজিবাজারে আনতে কর প্রণোদনার পাশাপাশি পলিসি সাপোর্ট দেয়া জরুরি।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত কোম্পানির তালিকাভুক্তির করপোরেট কর হার ২০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। তাহলে ভালো ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে অডিট রিপোর্ট দেখভালের জন্য আলাদা ডাটা বেইজ করা এবং ১০ শতাংশ অগ্রীম করকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণনা করার দাবি করেন ছায়েদুর রহমান।

এই বিভাগের আরো খবর