মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৬ ১৪৩১   ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৯৮

বছরে দেড় লাখ শিশু মারা যায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১  

এমনটিই তথ্য মিলেছে ডব্লিউএইচও ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন প্রকাশিত একটি যৌথ প্রতিবেদনে। এর সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে টিকা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার প্রকাশিত বার্তায় এসব তথ্য জানায় এএফপি। 

বিশ্বের প্রায় ৬৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই অবস্থান করে। আর নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুদের জন্ম ও বিকলাঙ্গতা সৃষ্টি করতে এটি বড় ভূমিকা পালন করে।

বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখের বেশি শিশু সময়ের আগেই জন্ম নিচ্ছে। আর এটির পেছনে অন্যতমভাবে দায়ী হচ্ছে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া। এ ছাড়া এটির কারণে আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বিকলাঙ্গতা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু তার পরও ব্যাকটেরিয়াটি রুখতে টিকা তৈরিতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও টিকাসংক্রান্ত বিভাগের কর্মকর্তা ফিলিপ ল্যামবাহ জানান, মায়েদের জন্য জিবিএসের টিকা অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করার আহ্বান জানাচ্ছে ডব্লিউএইচও। এটি হলে বিশ্বের দেশগুলো অনেক সুবিধা পাবে।

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক জয় লন বলেন, এর আগে জিবিএসের টিকা তৈরির বিষয়টি তিন দশক আগে আমলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন বিষয়টির তেমন অগ্রগতি হয়নি। মায়েদের এ টিকা দেওয়া হলে আগামী বছরগুলোতে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচতে পারবে।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বের ১৫ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বা নারী তাদের যৌনাঙ্গে জিবিএস ব্যাকটেরিয়া বহন করেন। সাধারণত মায়েদের শরীরে এ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কোনো উপসর্গ দেখা মেলে না। তবে তাদের শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়াটি গর্ভের শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি সন্তান জন্মের সময় এটি তাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

মায়েদের শরীরে জিবিএসে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে। এ ছাড়া পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও ব্যাকটেরিয়াটির ব্যাপকতা দেখা মেলে।

এই বিভাগের আরো খবর