মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০৫

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মানবাধিকার কোথায় ছিল? প্রশ্ন মেয়র লিটনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার পর কোথায় মানবাধিকার ছিল? এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

‘মানবাধিকারের ব্যবসা’ যারা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা ‘৭৫ সপরিবারে জাতির পিতা হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, পরবর্তীতে বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা হত্যা এবং যখন জিয়াউর রহমান পেছনে থেকে তার লোকদের মাধ্যমে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার? সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে সচেতন নাগরিক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ‘১৯৭১, ’৭৫, সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার চেয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা বক্তব্য দেন।

‘বিএনপি- জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসর-আমাদের মানবাধিকারের কী হবে? জবাব চাই’ শিরোনামে এ বিক্ষোভ সমাবেশের পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম।  এসময় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জাতির পিতার দুই কন্যা যখন দেশের বাইরে অনেক কষ্ট নিয়ে, অনেক দুঃখ নিয়ে, অনেক সমস্যা নিয়ে বসবাস করছিলেন, সেই সময় মানবাধিকারের কথা উঠেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগকে ৫ বছর জিয়াউর রহমান ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছিল। তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?’ শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার ছোট বোনের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সে কিছু বুঝতো না। আমার বাবার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান তার বাবাকে হারিয়ে একেবারে স্তব্ধ হয়েছিল, সে শুধু তাকিয়ে দেখতো বাবা কোথায়? কেন তার বাবা আসছে না? মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তখন তাদের আমরা দেখিনি। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন খুঁজে পান, সেই কথাকথিত সুশীল সমাজকে বলতে চাই, মানবাধিকারের কথা আপনাদের মুখে শোভা পায় না। দেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলোকে আপনারা সাপোর্ট দেন, আর ভালো কাজ সেগুলোকে সার্পোট দেন না। যখন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে, সেই সময় আপনাদের আমরা পাশে পাইনি। ‘বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে নানা বানোয়াট কথা ও চিঠি দিয়ে যারা বলতে চান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা নেই ও বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে’, তাদের উদ্দেশ্যে লিটন বলেন, আপনারা যদি এটিকে বিরোধী দল দমন করা বলতে চান তাহলে বিরোধী দল দিনের পর দিন পদযাত্রা, বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করছে কীভাবে?

এই বিভাগের আরো খবর