বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৯৩

বইমেলায় হাবিব ওয়াহিদ সুজনের উপন্যাস “রক্তগঙ্গার মাঝি”

মুহাম্মদ বশির আহমাদ 

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার উপজেলার ছোটনা গ্রামে ১৯৯৮ সালের পহেলা নভেম্বর  এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যিক ছদ্মনাম হাবিব ওয়াহিদ সুজন । তার পিতৃপ্রদত্ত  নাম হাবিবুর রহমান। গ্রামের স্কুল, ছোটনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক,  মোহাম্মদপুর সেরাজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক পাশ করেন। বর্তমানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে মাস্টার্সে অধ্যায়ন রত আছেন, এর পাশাপাশি শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় যুক্ত আছন।র  স্কুল কলেজে থাকা অবস্থায় লেখা লেখির জোক ছিল । কিন্তু সময়, পরিস্থিতির কারনে সেটা সামনের দিকে অগ্রসর করতে পারে নি। লেখালেখি করার ইচ্ছাশক্তি  যার প্রতিটি শিরা উপশিরায় প্রবাহিত হচ্ছে, সে ইচ্ছাশক্তি কি আর কোন বাঁধা মানে। যার ফলশ্রুতিতে তার সাহিত্য সাধনার প্রসার ঘটে বাংলা সাহিত্য নিয়ে অনার্সে পড়াশোনা করার সময়। আর সেখান থেকে শুরু হয় আজকের পথচলা।সেচ্ছাসেবীদের জীবনের বিচিত্রময় গল্প দিয়ে সাজানো তার প্রথম উপন্যাস রক্তগঙ্গার মাঝি প্রিয় বাংলা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।  যেখানে লেখক মানব জীবনের প্রেম, ভালবাসা, আবেগ অনুভতি, দীর্ঘশ্বাস, বেঁচে থাকার আকুলতা,  বাঁচিয়ে তোলার ব্যাকুলতা, দাম্পত্যময় জীবনের কঠিন বাস্তবতার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তার এই উপন্যাসে৷  জীবন চলার পথের সকল  ঘাত প্রতিঘাতকে ছাপিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, হৃদ্যতা,  সহানুভূতি প্রদর্শনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন পরম যত্নে।  

যেখানে লেখক তার লেখনীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো উপন্যাসটা একটা সেচ্ছাসেবকের ২৪ ঘন্টার কর্মসূচির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।  যার শুরুটা হয়েছে Messenger এর টুংটাং শব্দে,  আর শেষ হয়েছে জীবনের একরাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে। রক্ত সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে,  রক্ত দেওয়া নেওয়া,  মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া,  এই প্লাটফর্মকে পুঁজি করে মুষ্টিমেয় কিছু লোক জীবিকা নির্বাহ করা,  রোগীর লোকদের বিচিত্রময় কথা, হসপিটালের লোকদের আচার আচরণ ভালো মন্দ ব্যাবহার,  রক্ত ম্যানেজ করতে না পেরে সেচ্ছাসেবীদের কপালে চিন্তার রেখা ফুটে উঠা, একজন মা বাঁধা দেয় রক্ত দিতে,  অন্য এক মা তাকিয়ে থাকে তার সন্তানকে বাঁচাবে বলে।  মূলত এই সবগুলো বিষয়কে একত্রিত করে লেখক তার রক্তগঙ্গার মাঝি উপন্যাসটি সাজিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর