সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২৩

ফের জ্বলছে মিয়ানমারের রাখাইন

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০  

আবারো দাউদাউ করে জ্বলছে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। ভয়ানক লাল অগ্নিশিখায় দগ্ধ হচ্ছে রাখাইনদের স্বপ্ন, সাধনা ও শেষ সম্বলটুকু। সম্ভ্রম হারাচ্ছে মা-বোনেরা, বন্দুকের গুলিতে প্রাণ যাচ্ছে রোগা চিপচিপে ঘরনের মুসলমান কর্তাদের। খবরটি বেশ পুরোনো মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে পুরোনো নয়।

এইতো গেল বৃহস্পতিবারে রাখাইনের কিউকতা এলাকার একটি গ্রাম দাউদাউ করে জ্বলেছে। পেট্রোল দিয়ে গ্রামটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুধুই আগুন লাগিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। স্থানীয় দুজনকে গুলি করে হত্যা করে। কেউ আগুন নেভাতে চেষ্টাও করেনি। কারণ নেভানোর চেষ্টা করলে তাকে গুলি করার হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে ঠিক কোন কারণে এমন অতর্কিত বর্বরতা কেউ জানেন না।

থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাওয়াদ্দির সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের প্রায় ৪০০ ঘরের মধ্যে ২০০টিরও বেশি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জীবন বাঁচাতে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাদের হামলায় ভুক্তভোগী কো মং নিন্ত উইনের বাবা ইউ নিও মাং হ্লা বলেন, আমার ছেলে মোটরসাইকেলে চড়ে কাজ থেকে ফিরছিল। বিকাল ৫টার দিকে কিউকতাওয়ে সেনা সদস্যদের মুখোমুখি হয় সে। পরে তারা তাকে পথ দেখাতে বলে।

গ্রামবাসীর দাবি, হঠাৎ গ্রামের কাছে একটি স্থানে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরপরই সেনাবাহিনীর ট্রাকগুলো পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং গ্রামবাসীকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে নির্দেশ করে। এরপর সেনারা স্থানীয়দের ঘরের মালামাল লুট করে এবং বাড়িগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

তবে বরাবরের মতোই এবারো ইচ্ছাকৃত হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার মাধ্যমে সেনাদের ওপর আরাকান আর্মির সদস্যরা হামলা চালিয়েছিল। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় দুজনের মরদেহ এবং একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর