মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৬ ১৪৩১   ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২২

পানি পান করার ছয় সুন্নত

ইসলাম ডেস্ক 

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৪  

ইসলামের বিধান শুধু নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত তথা ইবাদত-বন্দেগির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এছাড়াও দুনিয়ার প্রতিটি কাজের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে ইবাদত-বন্দেগি ও ইসলামের রীতি-নীতি।

ইসলামি পদ্ধতিতে যে কাজ করা হবে তার সবই ইবাদত।  

আমরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার ও পানীয় গ্রহণ করি। আবার জীবনধারণের জন্য পানি পান করাও আবশ্যক। জীবন বাঁচাতে পানি পানের বিকল্প নেই।  এই পানি পানে রয়েছে কিছু ইসলামি নিয়ম ও পদ্ধতি। পানি পানের সময় স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুনির্দিষ্ট কিছু আমল করতেন।

আমলগুলো হলো-
১.বিসমিল্লাহ বলে পানি পান করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন তোমরা পান করো, তখন শুরুতে বিসমিল্লাহ এবং শেষে আল-হামদুলিল্লাহ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৮৮৫)

২. ডান হাতে পান করা : মহানবী (সা.) বলেন, তোমরা বাম হাতে আহার কোরো না। কেননা শয়তান বাম হাতে আহার করে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২৬৮)

৩. বসে পান করা : নবীজি (সা.) দাঁড়ানো, হাঁটা বা শোয়া অবস্থায় পানি পান না করে বসে বসে পানি পান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন, দাঁড়িয়ে, হেঁটে বা শুয়ে পানি পান করলে শ্বাসনালিতে পানি ঢুকে যাওয়ার ভয় থাকে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়িয়ে পানি পান করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২০২৪)
৪. তিন শ্বাসে পান করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা এক চুমুকে উটের মতো পানি পান কোরো না; বরং দুই-তিনবার (শ্বাস নিয়ে) পান কোরো। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৮৮৫)

৫. গ্লাসে নিশ্বাস না ফেলা : নবীজি (সা.) বলেন, তোমরা (পান করার সময়) পাত্রে নিশ্বাস ফেলো না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫৪)

৬. পান শেষে আলহামদুলিল্লাহ! : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন তোমরা পান করো, তখন শুরুতে বিসমিল্লাহ এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১৮৮৫)

আল্লাহ আমাদের সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।