বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৫ ১৪৩১   ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫৩

পানির নিচে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১  

 

কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতু তলিয়ে গেছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়েছে।

এতে প্রায় এক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে অবস্থিত আকর্ষণী ঝুলন্ত সেতুটির পাটাতন। ফলে বর্তমানে সেতুর ওপর  দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

রাঙ্গামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, প্রতিবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেলে ঝুলন্ত সেতু ডুবে যায়। রোববার থেকে সেতুটি ডুবছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে প্রায় এক ফুট পানির নিচে ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন। সেতুর পাটাতন ডুবে যাওয়ায় সেদিকে পর্যটকদের প্রবেশে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হ্রদের পানি কমে সেতুটি ভেসে উঠলে আবার চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

এদিকে ঝুলন্ত সেতু ডুবে যাওয়ায় আকর্ষণ হারিয়েছে রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের। মনক্ষুণ্ন হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা। এরপরও ডুবন্ত সেতু দিয়ে স্থানীয় লোকজন ও পর্যটক অনেককে চলাচল করতে সরেজমিন দেখা গেছে।

পর্যটকদের কেউ কেউ বলেন, ঝুলন্ত সেতু উপভোগ করতে রাঙ্গামাটি ঘুরতে যান তারা। কিন্তু ইতোমধ্যে সেতুর পাটাতন তলিয়ে যাওয়ায় তা আর হলো না। এতে মনক্ষুণ্ন করে বাড়ি ফিরছেন তারা।

১৯৭০ সালের দিকে সরকার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে। ১৯৮৬ সালে জেলা সদরে সরকারি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্স স্থাপন করা হলে সেখানে ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যে মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পর্যটকদের আকর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে বিচ্ছিন্ন দুটি পাহাড়ের মাঝখানে পারাপারের সুবিধায় সেতুটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।

সেতুটি বর্তমানে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আকারে পরিচিতি লাভ করেছে। ঝুলন্ত সেতুর পূর্বদিকে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশিসহ রয়েছে ছোট-বড় নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়।

এই বিভাগের আরো খবর