মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৯

পলিথিন কারখানায় অভিযান, তালা ঝুলিয়ে পালালেন মালিকরা

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৪  

রাজধানীর চকবাজারে অবৈধ পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি দল। অভিযানের খবর আগে থেকে জেনে কারখানায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান মালিকরা। পরে তালা ভেঙে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামালবাগ এলাকায় তিন তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পলিথিন তৈরির কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অভিযানে দলটি কারখানায় তালা ঝোলানো দেখতে পায়।  এছাড়া কারখানাটির সাইনবোর্ড আগে থেকে সরানো ছিল। পরে দলটি কারখানার প্রবেশ গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। 

কারখানায় প্রবেশ করে দেখা যায়, পলিথিন তৈরির এক বিশাল রাজ্য। কারখানাটির ভেতরে সারিবদ্ধ রয়েছে পলিথিন তৈরির উন্নত মানের বিদেশি মেশিন। এছাড়া ৪০ থেকে ৫০ বস্তা পলিথিন তৈরির কাঁচামাল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। 

অভিযানিক দলটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগে তারা পাইকারি কিংবা খুচরা পলিথিন বিক্রেতাদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু আজকের অভিযানটি অনেক বড়। সরাসরি পলিথিন তৈরির সঙ্গে জড়িত কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে তাদের এই অভিযানের কথা আগে জানতে পেরে যায় কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ। তাই তারা কারখানা তালা দিয়ে কর্মীসহ পালিয়ে গেছে। কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

এদিন কামালবাগ এলাকায় আরও তিনটি পলিথিন তৈরির বড় কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই তিন কারখানার মালিকও অভিযানের খবর পেয়ে কারখানায় তালা দিয়ে চলে যান। সেই কারখানাগুলোতেও পলিথিন তৈরির বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল পাওয়া যায় এবং তৈরিকৃত অবস্থায় হাজার হাজার পলিথিন পাওয়া যায়। এসব মালামাল ও পলিথিন জব্দ করা হয় এবং কারখানা তিনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।  এছাড়াও চারটি পলিথিন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

অভিযান শেষে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বেগম রুবিনা ফেরদৌসী বলেন, চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় চারটি পলিথিন ব্যাগ তৈরি করার কারখানাতে অভিযান পরিচালনা করি। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যায়। তারা অভিযানের খবর পেয়ে কারখানাগুলোকে তালা দিয়ে চলে যায়। পরে আমরা তালা ভেঙে কারখানাগুলোর ভেতরে প্রবেশ করি। পলিথিন তৈরির কাঁচামাল জব্দ করি। এছাড়া কারখানাগুলো সিলগালা করে দেই। বর্তমান সরকার পলিথিনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন এর উৎপাদন বন্ধ করতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি।

এই বিভাগের আরো খবর