রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৬ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩৮

নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগ দেওয়ার চুক্তি অনুসমর্থন মন্ত্রিসভার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৩  

নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) যোগ দেওয়ার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ শীর্ষক চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) যোগ দেওয়ার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ শীর্ষক চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোমবার (১৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’ নামে নতুন ব্যাংক করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাণিজ্য এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করা।

আরও পড়ুন>> শিগগির ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে পারে বাংলাদেশ: মোমেন
আটটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এ ব্যাংকে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণের সেই চুক্তি রেটিফাই করার প্রয়োজন ছিল, আজ মন্ত্রিসভা ওই চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ চুক্তি অনুমোদ হওয়ায় কী সুবিধা পাওয়া যাবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরই মধ্যে কয়েকটি প্রজেক্ট আছে, ৬০০ কোটি টাকার বেশি প্রজেক্ট পাইলাইনে আছে। অনুসমর্থন হয়ে গেলে ওই প্রকল্পগুলো পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।

আমরা চাঁদা দেই, কিন্তু তার থেকে কয়েকগুণ বেশি অর্থায়ন পাচ্ছি উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্বব্যাংক, এডিবির মতো দাতা সংস্থা যারা আছে তারা ফসিল ফুয়েলের ওপর প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় না। এ ব্যাংকে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ নেই। তারা এখানে অর্থায়ন করছে। অর্থায়নের জন্য আমাদের প্রকল্প বাছাই করছে।


তিনি বলেন, ব্রিকসের আওতায় এ ব্যাংক তৈরি করা হয়েছে। অন্য আন্তর্জাতিক মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকগুলোর প্যারালাল আরেকটি ব্যাংক করা হচ্ছে। তারা মনে করছেন যে ওই ব্যাংকের যে কাঠামো সেটি দিয়ে উন্নয়নশীল দেশ বা তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর যে চাহিদা অনেক সময় ফাইন্যান্সিং পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন>> শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংকে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন

‘সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতার জন্য ব্যাংকটি করা হচ্ছে। বিকল্প মুদ্রার মাধ্যমে যেন কাজ করতে পারে সেটি নিয়েও তারা কাজ করছে। আমরা এ ব্যাংকের সদস্যপদ ও শেয়ার নিয়েছি। এখন তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও নিবিড় করতে চাই।’ বলেন মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প পাইপলাইনে আছে। ওই দুটি প্রকল্পে এ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর