রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৯৯

দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে যা করবেন

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০  

বিবাহিতদের দাম্পত্য জীবনে সুখ থাকা প্রয়োজন। তাহলেই তাদের জীবন ভাল ভাবে চলবে। আর প্রতিটি দম্পতিই চান তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। আর এ জন্যেই দাম্পত্য কলহ রুখে সুখী হওয়ার চেষ্টা থাকে সবাই। যদিও এই পথ সহজ নয়। সুখী ও দীর্ঘ সম্পর্ক পেতে হলে অবশ্যই ধৈর্য থাকতে হবে।

আজও অনেক বিবাহিত দম্পতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে সংশয়ে থাকেন। সম্পর্কে নিরাপত্তাহীনতা, মতবিরোধ এবং আত্ম-সন্দেহ এ জাতীয় সমস্যার জন্ম দেয়। প্রতিটি বিবাহে অনুভূতি বিকাশের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে যা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। আর প্রথমেই এই সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
 
দাম্পত্য সম্পর্কের কিছু ইতিবাচক লক্ষণ রয়েছে, যার সাহায্যে আপনি আপনার বিবাহিত জীবনকে আরও সুখী করে তুলতে পারবেন। দাম্পত্য জীবন রাঙাতে যে অভ্যাসগুলো কার্যকর চলুন জেনে নেওয়া সেগুলো-

দাম্পত্য জীবনে যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সবকিছু আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। নিজের ভালো লাগা ও মন্দ লাগা মুহূর্তগুলোও শেয়ার করুন। এতে সঙ্গীর সাথে আপনার বন্ধুত্ব বেড়ে যাবে। আর সম্পর্ক হবে সুস্থ ও সুখের।

সঙ্গীর সাথে মন খুলে আলাপ করুন। আলাপকালে একজন যখন কথা বলে, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। সঙ্গী যেন বুঝতে পারে, তার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ রয়েছে। আবেগিক ও শারীরিক উভয় বন্ধনের জন্য যৌনতা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যাশা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ অন্যকে ভালোভাবে বোঝা ও উদযাপন করা।

যেকোনো সম্পর্কে প্রশংসার অভাব ভয়াবহ হতে পারে। সঙ্গীকে কৃতজ্ঞতা জানানো সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সঙ্গীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন। এতে দেখবেন সঙ্গী খুশি হবে এবং তার ভেতরের ভালোবাসা আরো গভীর হবে।

আর সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হলো একে অন্যের উপর বিশ্বাস। যে কোনও সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাস বা আস্থার ভিত্তির উপর। তা বন্ধুত্ব হোক, ভাই-বোন বা অন্য যে কেউই হোক না কেন, সম্পর্কে আনুগত্য থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ভরসা থাকাটা প্রয়োজন। কখনও কখনও সম্পর্কটি ভেঙে পড়তে শুরু করার পরেও, আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করেন এবং তার সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে সমস্যাগুলি দূরে সরে গিয়ে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে।

আর অবশ্যই মনে রাখবেন, সম্পর্কে যদি যত্ন না থাকে আর সঙ্গী যদি সেটা অনুভব না করতে পারে, তবে তিক্ততা আসবেই। তাই সহনশীল হোন আর সঙ্গীর দিকে খেয়াল রাখুন।