সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৯৯

ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২  

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে।

সোমবার (৩০ মে) সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখনো বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত প্রফিট না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বোরো সংগ্রহে সব খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যে সব মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান-চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা কৃত্রিম কোনো সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেন মন্ত্রী। ভোক্তা যেন আতংকিত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন কোনোভাবে হয়রানি না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ ময়েশ্চার মিটার দিয়ে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।

মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদন্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কোনো আপস হবে না। 
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ, কৃষি বিভাগের উপপরিচালকগণ খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও মিল মালিকগণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর