জাম্বু বাজেট : মুখস্থ গসিপ
মোস্তফা কামাল
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯

‘ব্যাংকের ভল্ট টাকাশূন্য’ মর্মে প্রচারিত খবরগুলো বাজারে বেশ চলছে। চাউরও হচ্ছে। এর মাঝে বছর বছর বাজেটের সাইজ বড় হচ্ছে। দিন দিন বাড়ছে অর্থনীতির ভলিয়ুম। তারওপর আট শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো জিডিপিতে লুঙ্গি ড্যান্স বিভিন্ন মহলে। ভল্ট টাকাশূন্য থাকলে কিভাবে এতো কিছু সম্ভব হচ্ছে? ম্যাজিকটা কোথায়? – স্পষ্ট জবাব নেই কোনো মহলে।
উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিষয়আসয় সম্পর্কে মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা ও প্রচারণা ব্যাপক। সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে বলে মুখস্থ আলোচনা পথে-ঘাটে। তারা এ-ও জানে এই লুটের সাথে ক্ষমতার অনন্য সম্পর্ক ছাড়া অসম্ভব।
দেশের অর্থনীতি অনেকটাই বেসরকারি খাতনির্ভর। কর্মসংস্থানেরও মূল ভরসা। ব্যাংক খাতে নগদ অর্থ না থাকায় বিপাকে বনেদি এবং সত্যিকারের শিল্প উদ্যোক্তারা। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে না চাহিদামতো টাকা ও ডলারের অভাবে।
উন্নয়নের নামে টাকা নিয়ে নয়ছয়, শেয়ার মার্কেট থেকে টাকা তুলে নেয়া, নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের খবর মানুষ নিয়মিতই দেখছে। শুনছে। বলা হচ্ছে: ট্যাক্সের টাকা দেয়া হচ্ছে সরকারি ব্যাংককে। সরকারি ব্যাংক সেই টাকা দেয় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। লুটপাটের এমন চমৎকার সুযোগ হারাবে কে? অন্যদিকে জিডিপির ফিগারে লুঙ্গি ড্যান্সই বা বাদ যাবে কেন?
সবারই জানা, ব্যাকগুলো ছোটখাটো গ্রহীতাদের ঋণ দিতে কত টালবাহানা করে। কতো তথ্য-সাবুদ নেয়। এই শ্রেণির বেশিরভাগ মানুষ ঋণশোধের চেষ্টাও করে। ঋণ নিয়ে সবসময় তটস্থ থাকে। অথচ বড় বড় খেলাপীরা কোষাগার খালি করে আরো ঋণ নিয়ে যায়। এদের প্রতি চাপের বদলে আরও ঋণের আশ্বাস।
এতে আস্থার অভাব হলেও মানুষের বিকল্প নেই। আমানত তারা রাখবে কোথায়? টাকা সিন্দুকে রাখার পরিস্থিতি নেই। ব্যবসা কিংবা লগ্নি করারও বিশ্বাসযোগ্য কোন খাত নেই। টাকা তাই ব্যাংকেই রাখতে হচ্ছে। আমানতকারীদের এ দুর্যোগ ব্যাংকগুলোর জন্য সুযোগ। এ সুযোগে ব্যাংগুলোতে নতুন আমানতের কমতি হচ্ছে না। বরং বাড়ছে। এ রকম অবস্থায়ই অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
বিশাল অঙ্কের বাজেটের তথ্য কম-বেশি সবারই জানা। ব্যয়ের আয়োজনও ব্যাপক। আবার টাকার হাহাকারও প্রচারিত। এ রকম বিপরীত অবস্থার মধ্যেই প্রতিটি বাজেটই সাইজে আগেরটিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এবার তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেটের সাইজ আরো বড়। টাকার অঙ্কে তা পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি। এর আগেরটি অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরেরটি চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার। হিসাবের অঙ্কে এবারেরটি ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ বেশি।
এবারের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট ৮.২০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে আশা করা হচ্ছে ৮.১৩ শতাংশ। এর বিপরীতে আয়-ব্যয়ের বিশাল পার্থক্যের কারণে এবার বাজেট ঘাটতিও অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে ২০ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। ওই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি দাঁড়াতে পারে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ৫ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে নেওয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ ঋণ খাতের মধ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ রয়েছে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।
দেশের অর্থনীতি অনেকটাই বেসরকারি খাতনির্ভর। কর্মসংস্থানেরও মূল ভরসা। ব্যাংক খাতে নগদ অর্থ না থাকায় বিপাকে বনেদি এবং সত্যিকারের শিল্প উদ্যোক্তারা। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে না চাহিদামতো টাকা ও ডলারের অভাবে। এক হিসাবে জানা গেছে, গত তিন বছরে বেশি ঋণ হাতিয়েছেন ক্ষমতাসীন মহলের খাস পছন্দের নির্মাণশিল্প ও ঠিকাদারিতে সম্পৃক্তরা।
পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাসড়কের চার লেনসহ বিশাল উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ পাওয়া ঠিকাদাররা এ রেসে বেশি এগিয়ে। ব্যাংকগুলোরও জোক বেশি তাদের ব্যাপারে। এসব রহস্য কম-বেশি সবারই জানা। মুখস্থ । এর চেয়ে চমকে চমকিত থাকাই নিয়তি। অধীর অবস্থায় সময় কাটছে বেকারদের জন্য ঋণ তহবিল, কৃষকের জন্য পাইলট প্রজেক্ট, শস্যবীমা, প্রবাসী বীমা, আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির মতো চমকের অপেক্ষমানদের।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; বার্তা সম্পাদক, বাংলাভিশন।
- জমি জমার বিরোধের জেরে হামলা আহত ৪
- পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ৫তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১ আহত ১৭
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
- শাহবাগে আগুনে পুড়লো ফুলের ৮ দোকান দগ্ধ ৫
- বাঁচবেন না এসিপি প্রদ্যুমন মন ভাঙল দর্শকের
- ঈদের ছুটির পর সচল চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
- ভারতে বাস দুর্ঘটনায়, ৭০ জনের বেশি ছিলেন বাংলাদেশি পর্যটক
- ১০ শতাংশ কমছে টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম
- ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে উল্টে গেলো বালুবাহী ট্রাক ৫ কিলোমিটার যানজট
- এবার সৌদি ও বাংলাদেশে একই দিনে ঈদ
- বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাতের সময়সূচি
- চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়
- নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে সব ট্রেন, আজ ঢাকা ছাড়বে ৬৯টি
- যশোরে তারেক রহমানের পক্ষে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- ঈদে লম্বা ছুটি, সুযোগ টানা ১১ দিনের
- ধর্ম উপদেষ্টা
সংখ্যালঘু নির্যাতন যেভাবে বলছেন সেই মাত্রায় নেই - গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত বেড়ে ৩২৬
- শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা ফ্রিজ
- লাকসামে এক নেতার বাড়িতে নিয়ে তরুণী কে ধর্ষণ
- অঙ্গীকার-এর উদ্যোগে ঢাবিতে নবীনবরণ ও ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত
- ন্যানসি কন্যা রোদেলার কণ্ঠে আসছে ঈদের গান
- জনগণ পছন্দ করে না এমন কোন কাজ করা যাবে না
- নোয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে হেনস্তা প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ
- লাকসামে ছাত্রদলের পদ-বঞ্চিতদের বিক্ষোভ মিছিল
- চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সভা অনুষ্ঠিত
- প্রথম একসঙ্গে ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে হাবিব-প্রীতম
- দুই দিনের সরকারি সফরে মরিশাস পৌঁছেছেন নরেন্দ্র মোদী
- ধর্ষণ থেকে বাঁচতে নারীদের ‘কারাতে’ শেখার আহ্বান নায়ক রুবেলের
- ভারতে বাস দুর্ঘটনায়, ৭০ জনের বেশি ছিলেন বাংলাদেশি পর্যটক
- ঈদের ছুটির পর সচল চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
- বাঁচবেন না এসিপি প্রদ্যুমন মন ভাঙল দর্শকের
- শাহবাগে আগুনে পুড়লো ফুলের ৮ দোকান দগ্ধ ৫
- পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ৫তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১ আহত ১৭
- জমি জমার বিরোধের জেরে হামলা আহত ৪
- মহাকাশের জন্ম ও মৃত্যু - ড. মো: হোসেন মনসুর
- কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি
- তরুণ কন্ঠের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম, শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা
- এইডস নিয়ে সচেতনতাই মূল লক্ষ্য
- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিনে মিলল ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদান
- প্রযুক্তির অধিক ব্যবহারের সাথে বেড়ে চলেছে অনলাইন প্রতারনা
- আইনের সঠিক ব্যবহার নাকি প্রয়োজন নতুন আইনের?
- বৃহৎ কার্যসিদ্ধির আদ্যপ্রান্তে!
- ইমান আর অনুভূতির জায়গা এক নয় : ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান
- বঙ্গবন্ধু ও কলকাতার বেকার হোস্টেল
- আপনিও দৈনিক তরুণ কণ্ঠে’র অংশ হয়ে উঠুন, লিখুন তরুণ কণ্ঠে
- ওয়ারী তালাবদ্ধ এবং বাস্তবতা
- রাজনীতিকের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কোথায়? - সাজেদা মুন্নি
- রমজান মাস স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার
- ধর্ষণ,তোমার শেষ কোথায়?