জনগণ কেন এর দায় নেবে
সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বছরখানেক আগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বলেছিলেন, সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। পানির দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে তিনি এই নসিহত করেছিলেন। কিন্তু সেই ‘ভিক্ষার’ টাকা কোথায় যায়, কারা তার সুবিধা পান, সে বিষয়টি তিনি খোলাসা করেননি।
খবর অনুযায়ী, ১৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ঢাকা ওয়াসাকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে অর্থ বিভাগের স্বাক্ষরিত লোন অ্যাগ্রিমেন্ট বা এলএ (ঋণচুক্তি) ও সাবসিডিয়ারি অ্যাগ্রিমেন্ট বা এসএলএ (সম্পূরক ঋণ চুক্তি) অনুযায়ী, বকেয়ার পরিমাণ ২৪ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
চিঠিতে স্থানীয় ও বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ (ডিএসএল) নির্ধারিত অর্থনৈতিক কোডে জমা দিতে বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরেও প্রতিষ্ঠানটির ডিএসএলের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
চার বছরে সরকারের কাছে ঢাকা ওয়াসার ঋণ যে দ্বিগুণ হলো, তার সুবিধা কি জনগণ; আরও নির্দিষ্ট করে বললে ঢাকার বাসিন্দারা পেয়েছেন? যদি না পেয়ে থাকেন, তাঁরা কেন এই করের বোঝা বহন করবেন? সরকারের যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হয় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে। কিন্তু ঢাকা ওয়াসার ক্ষেত্রে সেটি সম্ভবত সত্য নয়। ঢাকার বাসিন্দারা সুপেয় পানি পান বা না পান, এই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে যিনি আছেন, তিনি ফি বছর নিজের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে নিচ্ছেন। যে প্রতিষ্ঠানটি ঋণভারে জর্জরিত, সেই প্রতিষ্ঠানের এমডি মাসে বেতন নেন সোয়া ছয় লাখ টাকা।
সরকারের কাছ থেকে ধার নিয়ে কিংবা বিদেশি ঋণে ঢাকা ওয়াসা যেসব উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে, তার প্রায় সবগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে রাজধানীতে সরবরাহ করতে গৃহীত প্রকল্পটি চালুর তিন বছর পরও শোধনাগারের সক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশের বেশি অব্যবহৃত থাকছে। পানি অব্যবহৃত থাকার কারণ সরবরাহ লাইনের অপ্রতুলতা।
দাশেরকান্দি এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করা হলেও নির্ধারিত এলাকা (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) থেকে পয়োবর্জ্য শোধনাগার পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য এখন পর্যন্ত পাইপলাইন তৈরির (নেটওয়ার্ক) কাজ শুরু হয়নি। ঢাকা ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন অধিকাংশ প্রকল্পই নির্ধারিত সময় ও খরচে শেষ হচ্ছে না। একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দের অর্থ বাড়ানোর পরও কাজ অসমাপ্ত থাকার ঘটনাও কম নয়।
গত ১৩ বছরে ১৪ বার ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে। একদিকে ঋণের পরিমাণ বেড়ে চলেছে, অন্যদিকে সুপেয় পানি থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যে উন্নয়নের সুবিধা জনগণ বা গ্রাহকেরা পাচ্ছেন না, তার ব্যয়ভার কেন তাঁরা বহন করবেন? নগর গবেষণা ও নীতি বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান প্রথম আলোকে যথার্থই বলেছেন, পরিকল্পনাগত ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় বাস্তবসম্মত ও টেকসই না হওয়া সত্ত্বেও বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক ঋণে একের পর এক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের প্রকল্পের দায় জনগণ কেন নেবে? ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন ও মেয়াদ দুটোই রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসা কোথায় কত টাকা খরচ করেছে, জনগণ তা থেকে কী সুফল পেয়েছে, সেসব নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন; যাদের দায়িত্ব হবে প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতি ও অনিয়মগুলো উদ্ঘাটনের পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা।
জনগণের করের অর্থে পরিচালিত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কারও ব্যক্তিগত মর্জিতে চলতে পারে না।
- চার শর্তে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
- সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি
- লাকসামে ছাত্রশিবির কুমিল্লা দক্ষিণ শাখার কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান
- সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত ময়মনসিংহ সীমান্তে আটক
- সোমবার ঢাকায় আসছে জাতিসংঘের তদন্তদল
- ৪৬ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডে যারা থাকছেন
- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
- ছুটির দিনেও আশুলিয়ায় চলছে ১৪০০ কারখানা
- এডিবির অর্থায়নের প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস
- সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা
- পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান ড. ইউনূস
- পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির ৩ দফা দাবি
- শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর স্মরণসভা হচ্ছে না
- বন্যা পরবর্তীতে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মনোহরগঞ্জবাসী
- কৃপণতা-ভয় থেকে দূরে থাকার দোয়া
- কৃপণতা-ভয় থেকে দূরে থাকার দোয়া
- শ্রীলঙ্কায় ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা
- সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ছিলেন খালেদা জিয়া
- ব্যাংক খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন
- মেসি-রোনালদোর পর ব্যালন ডি’অর কাদের হাতে?
- সহযোগিতা করুন, একসঙ্গে সংস্কার করব: ড. ইউনূস
- ফের রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা : সীমান্তে কড়া পাহারা বাংলাদেশের
- ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত: ভিয়েতনামে ১৭৯ জনের মৃত্যু
- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: মাস পেরোলেও হয়নি নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা
- পালানোর সময় সাবেক এমপি ফজলে করিম আটক
- গাজীপুরে প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি কারখানার শ্রমিকদের উপর হামলা
- সদর উপজেলায় প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে বিএনপি’র চার নেতা বহিষ্কার
- বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়াবে চীন
- গাজীপুরে প্রভাব বিস্তারের জন্য একটি কারখানার শ্রমিকদের উপর হামলা
- পাংশা উপজেলার কৃতি সন্তান বর্তমানে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক
- লাকসামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ) জশনে জুলুছের প্রস্তুতি সভা
- পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির ৩ দফা দাবি
- গ্রামের নাম শুনলে ভেঙে যায় বিয়ে, মেলে না চাকরি
- আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি
- সদর উপজেলায় প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে বিএনপি’র চার নেতা বহিষ্কার
- মালয়েশিয়ার পারহেন্টিয়ান দ্বীপে ১৩ জন বাংলাদেশিসহ ২৬ জন গ্রেপ্তার
- নবাব স্যার সলিমুল্লাহ`র কবর জিয়ারত করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
- বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়াবে চীন
- একযোগে ২১৯ বিচারক বদলি, পদোন্নতি ৩১ জনের
- বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে কতটা টানাপোড়েন?
- বন্যা পরবর্তীতে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মনোহরগঞ্জবাসী
- আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
- সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া ব্যক্তির তিন মাসেও মিলছে না পরিচয়
- ব্যাংক খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন
- সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড
- বাতিল হতে পারে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন, যাদের নিয়ে আপত্তি
- গাজীপুরে বেক্সিমকোর কারখানায় আগুন
- যুবলীগ নেতা সঙ্গে গা ঢাকা, আমি তো সানি লিওন না...
- মহাকাশের জন্ম ও মৃত্যু - ড. মো: হোসেন মনসুর
- কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি
- তরুণ কন্ঠের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম, শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা
- এইডস নিয়ে সচেতনতাই মূল লক্ষ্য
- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিনে মিলল ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদান
- আইনের সঠিক ব্যবহার নাকি প্রয়োজন নতুন আইনের?
- প্রযুক্তির অধিক ব্যবহারের সাথে বেড়ে চলেছে অনলাইন প্রতারনা
- বৃহৎ কার্যসিদ্ধির আদ্যপ্রান্তে!
- ইমান আর অনুভূতির জায়গা এক নয় : ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান
- বঙ্গবন্ধু ও কলকাতার বেকার হোস্টেল
- আপনিও দৈনিক তরুণ কণ্ঠে’র অংশ হয়ে উঠুন, লিখুন তরুণ কণ্ঠে
- রাজনীতিকের দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কোথায়? - সাজেদা মুন্নি
- ওয়ারী তালাবদ্ধ এবং বাস্তবতা
- রমজান মাস স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার
- ধর্ষণ,তোমার শেষ কোথায়?