বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১   ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৭

ছাত্রদল নেতার মাদকের সংশ্লিষ্টতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াছড়ি

নজরুল ইসলাম, গাজীপুর

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৪  

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা দলের সভাপতির ছেলে ও বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইশরাক একান্ত। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগসহ একাধিক তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইশরাক একান্ত শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর দূর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তার মাদক বিক্রির নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড এবং এলাকাবাসীর হাতে আটক তার এক প্রতিনিধির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আটক ব্যক্তিকে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অডিও এবং ভিডিও থেকে জানা যায়, ইশরাক একান্ত বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বর্তমান সরকারের পতনের পর মাদক ব্যবসা আরও প্রসারিত হয়েছে।

এছাড়া, শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়লের সাথে ইশরাকের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। এই সম্পর্কের কারণে ইশরাক নিজের মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন।

শ্রীপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা মামুন হাসান জানান, "সাতখামাইর বাজারে মাদকসহ একটি ছেলেকে আটক করার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ পিস মাদক উদ্ধার করা হয় এবং জানা যায় তার সাথে ইশরাকের যোগাযোগ রয়েছে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।"

তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে ইশরাকের নম্বর পাওয়া যায়। ফোনে ইশরাক তাকে সরাসরি ফোন না করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে বলেন এবং মাদক বিক্রির বিষয়ে কথোপকথন করেন।

শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়ল বলেন, "এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। ইশরাকের বিরুদ্ধে এলাকা ভিত্তিক আক্রোশ থেকে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাদকের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।"

অন্যদিকে, গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন সৈকত অভিযোগকে সত্য বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, "ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে ইশরাক মাদক ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত। তার কণ্ঠস্বর অডিও রেকর্ডেও স্পষ্টভাবে পাওয়া গেছে।"

এই বিষয়ে ইসরাক একান্তর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যে ছেলেকে তারা ধরেছে তাকে দিয়ে জোরকরে আমার নাম বলানো হয়েছে।আমি কোন ভাবেই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করেছি।
স্থানীয়দের দাবি বরমী ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ এবং ছাত্রদলের নেতারা ইশরাকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইউনিয়নে মাদক নির্মূলে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর