বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ১১ ১৪৩২   ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮১

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বিএনপির দাবি

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২১  

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রীর চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, দেশনেত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনো মতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। তার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার কোনো সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।’

‘স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য দেশনেত্রীর বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানায়।’

গত ২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে প্রেরণে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে বলিনি, তার পরিবার বিদেশে প্রেরণের কথা বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এর জন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি। তারপরের যে স্টেপগুলো আছে পরবর্তীতে আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’

গত ১৯ জুন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসার পর খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন। হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই তার চিকিৎসা নেন। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম কয়েকদিন কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকলেও ফুসফুসের জটিলতা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে একমাস ছিলেন তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর