বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫২৬

উত্তরা কিশোর গ্যাং এন্ড কোং

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৪  

৫ই আগস্ট দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলে ও ঢাকা উত্তরা এখনো কিশোরগ্যাংয়ের দখলে। বরং বর্তমান পুলিশ প্রশাসন কিছুটা অপ্রস্তুত তাই সর্বোচ্ছ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সানি (কনডম সানি) মামুন(কুত্তা মামুন) মিশির(গন্ডার মিশির) আর আল আমিনরা। কোন ভাবেই তাদের থামানো যাচ্ছেনা।


বর্তমান প্রশাসনিক দূর্বলতার সুযোগে কিশোরগ্যাংয়ের লাগামহীন চাঁদাবাজিতে নাজেরহাল উত্তরার ব্যবসায়ীরা।  ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ১/২ দিন পালিয়ে থাকলে ও সানি এবং মামুন ৮ই আগস্ট থেকে কমপক্ষে ১০/১২ টি প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার মধ্যে উত্তরা কমফোর্ট ইন হোটেল, কিং ফিশার বার, বেইজিং হোটেল, মারগারিটা লাউন্জ, কুরিয়ান রেস্টুরেন্ট, ডি ম্যরিডায়ান হোটেল ও অন্যান ছোটবড় অনেক প্রতিষ্ঠান।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাবেক  আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য হাবিব হাসান এবং তার ভাই আলাউদ্দিন সোহেলের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক চাঁদা উঠানোর দায়িত্ব ছিল সানি এবং মামুনের।অনুসন্ধানে দেখা যায় উত্তরা পশ্চিম থানার এস আই নাহিদ পারভেজ বিভিন্ন ভাবে সহায়তে করে আসছে কিশোর গ্যাংয়ের। সানির বিরুদ্ধে শ খানেক বিভিন্ন অভিযোগ এবং ডজন খানেক মামলা থাকলে পুলিশ কোন ভাবেই তাকে আটক করতে পারছে না অথচ সানিকে অধিকাংশ সময় উত্তরা পশ্চিম থানার আশে পাশেয় দেখা যায় বলে জানা যায়। 

গত ১৯ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর আরংয়ের পেছনে সংঘর্ষে জড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রপ। এ সময় প্যরাডাইস টাওয়ারের এক কর্মকর্তা আহত হন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এ কর্মকর্তা জানান, উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনি সাধারন ডায়েরি করলে থানায় পাল্টা আভিযোগ করে কিশোরগ্যাং এবং তারপর থেকে সানি এবং মামুম বিভিন্ন ভাবে তাকে হয়রানি করে আসছে। 


এব্যপারে উত্তরা পশ্চিম থানার তদন্ত ওসি মফিজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে, এ বিষয়টা তিনি দেখবেন বলে জানান।

এই বিভাগের আরো খবর