বুধবার   ৩০ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৫ ১৪৩১   ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৭৭

আন্দোলনের সময় থানায় হামলা-আগুন, মামলায় আসামি ৪০ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৪  

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে একটি মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় হামলা চালায়। সেদিন অস্ত্র লুট ও ভাঙচুর করে থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামাসহ ৪০ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্ট হামলাকারীরা থানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও মামলার স্পর্শকাতর আলামত আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়। 

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সনের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায়, বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সনের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের ১৬ তারিখ থেকে চলতি ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে। যা পরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে শিশু-নারীসহ ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। 

আন্দোলন নিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বলছে— গত ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর ও বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা বলা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর