শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৫৬

অফিস না করে মন্ত্রনালয়ে ঘুরাঘুরি করছে জবির উপ-প্রধান প্রকৌশলী

আহমেদ সানি, জবি প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৩  

ছুটি না নিয়ে আফিসে না এসে বিভিন্ন কাজ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ঘুরাঘুরির অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপ-প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে।

ছুটি না নিয়ে আফিসে না এসে বিভিন্ন কাজ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ঘুরাঘুরির অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপ-প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর তার অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায, সুকুমার চন্দ্র সাহা পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলীর নিয়োগ পেতে মন্ত্রনালয়ে গিয়ে বিভিন্নজনের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তাছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে নেতিবাচক উপস্থাপন করছেন ও কাজের গতিরোধ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, তার যোগ্যতা না থাকায় ২০১৯ সালে তাকে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে স্থায়ী প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এর পর থেকেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর নিয়ে প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে। তার একাডেমিক কোনো সনদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করেনি। ডিপ্লোমা করছে কুমিল্লার একটা প্রাইভেট পলিটেকনিক থেকে আর বিএসসি করছে ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে। তার সনদ জাল বলেও ছড়াছড়ি হচ্ছে, কিন্তু সঠিক জানিনা।

অভিযোগের বিষয়ে সুকুমার চন্দ্র সাহা বলেন, আমি ৩ দিনের ছুটির দরখাস্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রেজারার দপ্তরে ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি, পরে স্যার ব্যস্ত দেখে চলে গেছি। আমি ছুটি নিয়ে ব্যাক্তিগত কাজে মন্ত্রনালয় বা পার্টি অফিস যেখানেই যাই এতে কারো কোনো সমস্যা থাকার কথা না। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আমার বন্ধু আছে যেতেই পারি।

তিনি আরও বলেন, আমাকে জগন্নাথে চীফ ইঞ্জিনিয়ার থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অন্য কোথাও চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদে সুযোগ পেলে তো সবাই যেতে চাইবে। যোগ্যতা থাকলে সবাই লিংকআপ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী পিইঞ্জ বলেন, সে আজ (রবিবার) অফিসে আসেনি। সে ছুটির দরখাস্ত দিয়েই চলে গেছে, কিন্তু ছুটি মঞ্জুর হয়নি। ছুটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা, বা তার বিকল্প কাউকে পেয়েছি কিনা তার খোঁজ একবারও নেননি তিনি।

মন্ত্রনালয়ে ঘুরাঘুরির বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, নিজেকে সাবেক চীফ ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে মন্ত্রনালয়ে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকে খর্ব করছে, মানুষকে মিসগাইড করছে বিষয়টি আমি জেনেছি। তারপর তাকে মন্ত্রনালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার সে মন্ত্রনালয়ে যাওয়ার সত্যতা পেলে তাকে শোকজ দিবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তিনি যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের কর্মকর্তা, অভিযোগের বিষয়ে তার দপ্তর প্রধান তদন্ত করে জানাবে।
 

এই বিভাগের আরো খবর